প্রবাসীদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যারা এখন বিদেশে আছেন তাদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মানাধীন ভবন পরিদর্শনে এসে এমন কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।

মন্ত্রী বলেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছেন। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে।

আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। টিকা নেয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত।

তিনি আরো বলেন, জেলা সফরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাইরে থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, জনবল বৃদ্ধি করার জন্য ইতোমধ্যে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচি আরো বেগবান করা হয়েছে। আমরা প্রথম ডোজ ৭ কোটি দিয়েছি। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ৪ কোটি দেয়া হয়েছে। আজ টিকা প্রদান করা হলে ১১ কোটি ডোজ প্রদান করা হবে। এটাও একটা গণপ্রস্তুতি। কারণ ওমিক্রনকে যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে টিকা নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদাসহ অনেকে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা