রোনালদোকে সৌদি ক্লাবের ২৩৬৫ কোটি
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। নতুন খবর, রোনালদোকে দলে পেতে বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের একটি ক্লাব। রোনালদোর দেশ পর্তুগালের সিএনএন ও টিভিআই এক রিপোর্টে জানাচ্ছে, রোনালদোকে ২৩৬৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদির সেই ক্লাব। এই প্রস্তাবে রাজি হলে কিলিয়ান এমবাপেদের পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারে পরিণত হবেন রোনালদো।
রোনালদোকে দলে ভেড়াতে ৩০ কোটি ইউরোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেই ক্লাব। তার ৩ কোটি ইউরো যাবে ট্রান্সফার ফি-তে। ২৫ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩৬৫ কোটি টাকা রোনালদোকে দিতে চায় ক্লাবটি। এই অর্থ দুই বছরে দেবে রোনালদোকে। আর ২ কোটি ইউরো যাবে রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেজের পকেটে। রোনালদো ম্যানইউতে প্রতি মৌসুমে ৩.৬ কোটি ইউরো আয় করেন। সৌদি ক্লাবের অবিশ্বাস্য এই প্রস্তাব যদি শেষমেশ মেনেই নেন তিনি, তাহলে এমবাপেকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারে পরিণত হয়ে যাবেন। বর্তমানে কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি থেকে ৬.২ কোটি ইউরো আয় করে থাকেন।
তবে রোনালদো এই প্রস্তাবে রাজি হবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রোনালদোর ম্যানইউ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা। ম্যানইউ আসছে মৌসুমে খেলবে ইউরোপা লিগে। সৌদির ক্লাবে গেলে রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগ তো খেলতে পারবেনই না, ছিটকে যাবেন ইউরোপের ফুটবল থেকে।
রোনালদো চেলসিতে যেতে পারেন এমন খবরও আছে। চেলসির নতুন মালিক টড বোহেলি ৩৭ বছর বয়সী তারকাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। তিনি এর আগে রোনালদোর এজেন্টের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে কোচ টমাস টুখেল রোনালদোকে চান না বলেই খবর। এরই মধ্যে দলটি ম্যানসিটি থেকে রাহিম স্টার্লিংকে দলে ভিড়িয়েছে।
রোনালদোর বিষয়ে চেলসি কোচ টমাস টুখেলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। টুখেল বলেন, ‘আরেকজন স্ট্রাইকারকে দলে নেওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেব না। কিন্তু এটি আমাদের অগ্রাধিকার নয়। এখন আমাদের দলে অগ্রাধিকার ডিফেন্সে। আমরা বেশ কিছু শীর্ষ খেলোয়াড় হারিয়েছি। তাদের জায়গায় নতুন খেলোয়াড় আনতে হবে।’
ডিফেন্সের প্রতিভূ আন্তোনিও রুডিগারকে হারিয়ে আয়াক্স থেকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে দলে নেওয়া প্রায় নিশ্চিত করেছেন টুখেল।
রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আরও এক বছর চুক্তি আছে। শেষ পর্যন্ত রোনালদো নতুন কোনো ক্লাবে যান নাকি ম্যানইউতেই থাকেন সেটি হবে দেখার বিষয়।