সকাল এক অনন্য সাধারণ প্রত্যয়

সময়: 9:59 pm - November 6, 2022 | | পঠিত হয়েছে: 5 বার

বহু দিন পর আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠলাম।ব্রাশ করে একা একা বাড়ির চারপাশটা একটূ ঘুরে দেখলাম।
একটু পরেই সুর্যি মামা উকি দিল পূর্ব আকাশে। সেকি অপরূপ মহিমা, তখন ইচ্ছে হল পুকুর পাড় থেকে একটু ঘুরে আসি।

পুকুরের কাছে যেতেই সুর্যের প্রতিফলিত আলোকরশ্মিতে আমার চোখ বন্ধ হয়ে এলো।
চোখ খুলে যা দেখলাম আ হা হহহ কি মনোরম দৃশ্য। চার দিকটা আলোয় ঝলমলে। সুর্য রশ্মি গুলো বাঁশ বাগানের মাথায় বাধা প্রাপ্ত হয়ে আলোক গুচ্ছ আকারে জল ছুয়েছে। এই রশ্মি গুলোকে মনে হচ্ছে বিধাতার নিজ হাতে জালানো টর্চ লাইট। সেই সাথে মিষ্টি কুয়াশার নাচন। কিন্ত এই নাচনযে আলোকমালার সহ্য হয়না। কুয়াশারা যখন ভুল করে তীব্র আলোতে প্রবেশ করেই বিলীন হয়ে যায়। আর এমন দৃশ্য কি সহযে দেখা যায়? কুয়াশা আর আলোকমালার এই যুদ্ধের দর্শক কিন্তু আমি একা ছিলামনা।চারদিকের গাছপালা গুলো ছিল প্রত্যক্ষদর্শী। সূর্যের আলোয় উজ্জীবিত হয়ে প্রাণপণ প্রার্থনা করছিল আলোকমালার জয়। একপর্যায়ে কুয়াশার দল হারিয়ে গেল। জয় হল আলোকমালার।
কিন্ত যুদ্ধ শেষ হয়নি। সন্ধ্যা আসতেই বিধাতার ইশারায় আবার ফিরে আসবে কুয়াশারাজি।

শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠা একটু কঠিন। কিন্তু যদি আপনি একটু কষ্ট করে উঠে পরেন তো আপনার জলাশয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আপনিও সাক্ষি হতে পারেন এমন নয়নাভিরাম মন মাতানো ইভেন্টএর।
যা আপনার শরীর এবং মনকে করে তুলবে দিগুন বেশি কর্মক্ষম।
সবাইকে আলোকমালা আর কুয়াশার দিগন্তব্যাপী আহব্বান জানাচ্ছি।

কাজি তুষার,  শিক্ষার্থী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর