মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ কুবি শিক্ষার্থীরা

এমদাদুল হক, কুবি প্রতিনিধি: শীতের শুরুতেই মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর থেকে হলে কিংবা ক্যাম্পাসের কোনো জায়গায় বসার উপায় থাকে না।
মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে হলে অবস্থান করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের প্রায় সর্বত্রই ঝোপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের আশপাশের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা ও ময়লা আবর্জনার স্তূপ থাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড়পূর্ণ থাকায় ও নিয়মিত মশা নিধনে কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রকি খাঁন বলেন, ‘প্রতিদিন মশার জ্বলায় আমরা বিরক্ত। ঠিক মত পড়তে বসতে পারি না, বসলেও মাত্রাতিরিক্ত মশার জ্বালায় পড়ালেখায় ব্যাহত হচ্ছে, রাতে ঠিক মত ঘুমাতেও পারছি না।
এরকম চলতে থাকলে আমরা নানারকম মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যাব যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ও অর্থনীতি বিভাগের ১৪ তম আবর্তন এর শিক্ষার্থী রুবাইয়াত তাজবীন বলেন, ‘শীতকালে মশার উপদ্রপ বেশি হওয়ায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। হল প্রশাসনের কাছে আশা থাকবে তারা দ্রুত এ সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখবেন।’
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মোকাদ্দেস-উল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের সাথে আমরা কথা বলেছি, ওরা দুই একদিনের মধ্যে মশা মারার ব্যবস্থা করবে।’
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা হলে মশার উপদ্রব আছে এমন কোনো অভিযোগ স্টুডেন্টরা আমার কাছে দেয় নি কিন্তু আমি নিজেই স্বউদ্যোগী হয়ে দেখেছি হলে নতুন কিছু পোকামাকড় আসছে। ড্রেনের কারণে এটা হতে পারে। তাই, আমি অলরেডি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে রেখেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ‘মশার কামড়ের ফলে মশা বাহিত রোগ যেমন জ্বর, ডেঙ্গু ও ডেঙ্গুসহ নানা রোগ ছড়াতে পারে।’
এই সমস্যা সমাধানে তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই। মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস করতে হবে, দিনের বেলা ঘুমানোর সময় মশারী টানিয়ে ঘুমাতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার প্রধান মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নাই। সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করে। এই বিষয়ে আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলবো।’