গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে আজ গণশুনানি

আপডেট: January 8, 2023 |

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদনের প্রেক্ষিতে গণশুনানি শুরু হচ্ছে আজ।

রোববার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে শুরু হয়ে শুনানি বিকেল পর্যন্ত চলবে।

এরপর আগামীকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) শেষ হবে। তবে কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামী মঙ্গলবারও। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়।

গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে পাঁচ প্রতিষ্ঠান।

সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

এদিকে একই দিনে একই জায়গায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ট্যারিফের ওপরও শুনানি হবে। কমিশন জানায়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) বিদ্যুতের সঞ্চালন ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাবের আবেদনের ওপর এই শুনানি হবে।

এরমধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) বলছে, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে ১১২৭ কোটি টাকা, একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ১৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বলছে তাদের ৫৩৫ কোটি টাকা লোকশান হবে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনও আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে।

গত ২১ নভেম্বরে বিতরণ কোম্পানির জন্য পাইকারি দর ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। তবে বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।

জানা যায়, দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর