একুশের চেতনায় তরুণ-তরুণীদের জাগ্রত হতে হবে: পলক

আপডেট: February 18, 2023 |

ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, একুশের চেতনায় দেশের তরুণ-তরুণীদের জাগ্রত হতে হবে। একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে নিজের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া। এজন্য আমাদের একুশের চেতনায় জাগ্রত হতে হবে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ চত্ত্বরে দুই দিনব্যাপী আইসিটি ক্যাম্প এবং আইসিটি চাকরি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫১ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে রফিক, জব্বার, বরকতসহ অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা মায়ের ভাষার মর্যাদা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলতেন সোনার বাংলা গড়তে হলে, সোনার মানুষ চাই।

একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলা গড়তে হলে দেশের মানুষকে আর্দশ মানুষ হতে হবে। আমাদের কর্মমুঠো

ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। আজকে আমাদের তরুণ-তরুণী ভবিষতে স্মাট বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের কাছে একুশের চেতনায় জাগ্রত করতে হবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা চলনবিলের কাদামাটি থেকে তুলে নিয়ে আমাকে সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তোমরা যদি কঠোর পরিশ্রম কর।

তোমাদের লক্ষ্য যদি ঠিক রাখো, তাহলে অবশ্যই জীবনে সফল হবে এবং সারাবিশ্বকে জয় করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী অসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজ করতে হবে।

পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ২০ হাজার টাকা করে কর্ম সহায়ক অনুদান দেওয়া হবে। অফুরান শক্তিতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই আমাদের লক্ষ্য।

এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

পলক আরও বলেন, দীর্ঘ ৩৭ বছর সিংড়ায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, অবকাঠামোসহ সবক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। গত ১৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিংড়ার মানুষকে অসংখ্যক উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন।

সিংড়ায় আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। গ্রামকে সড়কে সংযুক্ত করেছেন। ইন্টারনেটের সংযোগ দিয়ে ১২টি ইউনিয়নে ডিজিটাল এলাকায় রুপান্তিত করেছেন।

আজ সিংড়ায় বসে ই-কর্মাস উদ্যোক্তারা বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করছেন। সরকার, দেশের সমাজব্যবস্থা, মানুষসহ সবক্ষেত্রে স্মাট দেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার।

দিনব্যাপী আইসিটি চাকরি উৎসব অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন।

জানা গেছে, সিংড়া উপজেলার ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবে ২০টি তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের স্টলে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। যোগ্যতা অনুযায়ী তারা চাকরি পাবেন। উৎসবে চাকরি সহায়ক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক ৫টি সেশন থাকছে।

প্রথম সেশনে ‘স্মার্ট চাকরির মাধ্যমে স্মার্ট সিংড়া’ সেশনে আফসানা ইয়াসমিন, শিবলী সাদিকসহ ৫জন সফল উদ্যোক্তা তাদের সফলতার গল্প শোনান।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর