ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে
ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১২ ফেব্রুয়ারী ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার অনুসারী কর্তৃক নারী শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তলব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। সকাল ১১ টায় ক্যাম্পাসে পৌছালে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি তদন্তের স্বার্থে তাকে সহ তার বাবা ও মামাকে নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দিতে সকাল থেকেই ইবি থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান করেন। পরে দুপুর থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বয়ান শোনেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এসময় তদন্ত কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আরা সাথি ও আলীবদ্দীন খান।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল জানান, তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগী কি বলেছে তা গোপন রাখা হয়েছে। আপাতত কিছুই বলছিনা তদন্তের কাজের সুষ্ঠু অবস্থার জন্য।
সরেজমিনে তদন্ত করছি। ওর সাক্ষাৎকার নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখলাম। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টার মতো ভুক্তভোগীর কথা শুনেছি। সংশ্লিষ্ট মেয়েদের ও সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোও আমরা পরিদর্শন করেছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত আজাদ জানান, আমি ভুক্তভোগী ও তার মা বাবাদের সাথে কথা আশ্বস্থ করেছি আপনার মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই আমরা পাশে আছি। তদন্ত কমিটি নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে।
তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পেশ করলে তার আলোকে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। তিনি বলেন প্রধান ফটকে সার্বক্ষণিক পুলিশের গাড়ি ছিলো।
সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন ভুক্তভোগীর সাথেই ছিলেন ওকে বয়ান শেষে গাড়িতে তুলে দেয়া হয়েছে। গেটে পুলিশ সবসময়ই ছিলো এদিকে আমরা ছিলাম। হল কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় কমিটি তার সাক্ষাৎকার শেষ করেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আজকে সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো প্রক্টর ম্যাম নিয়ে গিয়ে তদন্তের কাজ করেছে। তবে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তার কথা কিছু বলেনি।
আমি ১২ টায় গিয়েছিলাম সন্ধ্যার আগে বের হয়েছি। আমার সাথে আমার বাবা আর মামা। আমি এখনো কোনো চাপে নেই। আর মামলার বিষয়টা আমি ভাবতেছি। বর্তমানে আমি মামার বাড়ী শিলাইদহতে অবস্থান করছি