সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া সাজ্জাদ গ্রেফতার

আপডেট: March 16, 2024 |

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক সাজ্জাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দীর্ঘ দিন আত্নগোপনে থাকা সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্পের পরিচালক এবাদুল ওরফে সাজ্জাদ শেখকে বুধবার রাতে মিরপুর ঢাকা থেকে র‌্যাবের সহযোগীতায় গ্রেফতার করেন ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার কলারন গ্রামের ফজলুর রহমান শেখের ছেলে সাজ্জাদ শেখ শ্যামলী থানায় ২০০৭ সালে একটি প্রতারনা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিল।

তার গ্রেফতারের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মোড়েলগঞ্জ, পিরোজপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার শত শত ভুক্তভোগি নারী পুরুষ ইন্দুরকানী থানার সামনে জড়ো হয়ে সাজ্জাদের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দেয়া , উন্নয়নমুলক সেবা কার্যক্রম, হতদরিদ্রের ঘর ,মসজিদ নির্মান, মাদরাসা, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, হেফজখানা, গরু ছাগলের খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ ও ধান চালের প্রকল্প চালু করার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক এমদাদুল ওরফে সাজ্জাদ ।

প্রতিশ্রতি অনুযায়ী তার কার্যক্রম না থাকায় ভুক্তভোগিরা চাপ প্রয়োগ করলে তিনি এলাকা থেকে আত্মগোপন করেন । পরে তার বিরুদ্ধে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

প্রতারনার স্বীকার ভুক্তভোগীরা জানান, চরহোগলা বুনিয়া এলাকায় একটি প্রকল্পের উদ্ধোধনের সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন সহ সরকারি দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । তাদের বিশ্বাসে আমরা টাকা দিয়েছি ।

সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে গেলে ঐ প্রকল্পের আওতায় থাকা ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল ও অনেক গরু চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে নিয়ে যায়।

আমাদের টাকা পরিশোধও করেন না। বরং টাকা চাইতে গেলে আইনির ব্যবস্থা নিতে বলেন ।

অভিযুক্ত এবাদুল সাজ্জাদ জানান, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করিছিলাম । কিন্তু আমার ফুফাতো ভাই মাস্টার সরোয়ার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং প্রভাবশালীরা আমার কথা বলে স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ এসবের অনেক কিছুই আমার অজানা।

ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাচঁ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও এলাকার আলোচিত প্রতারক এবাদুল হক সাজ্জাদকে এএসআই মুনছুর আলী ও র‌্যাবের সহযোগীতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর