না ফেরার দেশে দগ্ধ সোনিয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের ৬ জনেরই মৃত্যু

আপডেট: March 27, 2024 |

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। এ নিয়ে একই ঘরের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে সে মারা যায়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছেন।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টিতে সোনিয়াদের টিনের বসতঘরের ওপর ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে।

এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাক্‌প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭) মারা যায়।

গতকাল বিকেলে স্থানীয় হাজী ইনজাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ওই পাঁচজনের জানাজা হয়। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার লোক অংশ নেন।

পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। মামা আবদুল আজিজ জানিয়েছেন, সোনিয়াকে আজ জানাজা শেষে তাদের পাশে দাফন করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর