গ্র্যামির মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়লেন জিমি কার্টার


বিশ্ব সংগীতাঙ্গনের অন্যতম সম্মানসূচক পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস। শুক্রবার স্থানীয় সময় (৮ নভেম্বর) ভোরে ৬৭তম গ্র্যামির মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। শতবর্ষ বয়সে গ্র্যামির মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল জানিয়েছে, বেস্ট অডিওবুক, ন্যারেশন অ্যান্ড স্টোরিটেলিং রেকর্ডিং বিভাগে গ্র্যামির মনোনয়ন পেয়েছেন জিমি কার্টার। ‘লাস্ট সানডেজ ইন প্লেইনস: আ সেন্টেনিয়াল সেলিব্রেশন’ অ্যালবামের জন্য এ মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। এটি তার ১০তম গ্র্যামি মনোনয়ন।
বিবিসির তথ্য মতে, সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক গ্র্যামি মনোনীত হয়েছেন জিমি কার্টার।কার্টার ফাউন্ডেশনের মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে জিমি কার্টারের মনোনয়ন পাওয়ার খবর জানানো হয়েছে। এ পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘কি সম্মান!’
বেস্ট স্পোকেন ওয়ার্ড অ্যালবাম ক্যাটাগরিতে এ পর্যন্ত তিনবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন জিমি কার্টার। অ্যালবামগুলো হলো— আওয়ার ইনডেঞ্জারড ভ্যালুস: আমেরিকা’স মরাল ক্রাইসিস (২০০৫), আ ফুল লাইফ: রিফ্লেকশনস অ্যাট নাইনটি (২০১৫), ফেইথ: আ জার্নি ফর অল (২০১৮)।১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন জিমি কার্টার। ৮ দিন আগে ১০০ বছর পূর্ণ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী প্রেসিডেন্ট কার্টার।
১৯৭৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বপালন করেন জিমি কার্টার। ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হয়ে হোয়াইট হাউজ ছাড়েন কার্টার।
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন জিমি কার্টার। মানবাধিকার রক্ষা, দেশে দেশে দারিদ্র্য হ্রাসে কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে নিরলস প্রচেষ্টা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিসাধন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।