বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর বিপুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

আপডেট: December 22, 2024 |
inbound6086087600438340297
print news

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার চাঁদর টাকা না পেয়ে হোটেল ম্যানেজার বিপুল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোঃ আলিফ শেখ (২৪) কে ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাব-১২ বগুড়া ও র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট যৌথ অভিযানে নওগাঁ জেলার পতনীতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

২২ ডিসেম্বর (রোববার) সময় অনুমান ০২.৫০ ঘটিকায় র‍্যাব-১২ বগুড়া ও র‍্যাব-০৫ যৌথ অভিযানে চাঞ্চাল্যকর হোটেল ম্যানেজার বিপুল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোঃ আলিফ শেখকে নওগাঁর পত্নীতলা কার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ বগুড়া সদরের নিশিন্দারা এলাকার মোঃ রতন শেখ এর ছেলে।র‍্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার আবুল হাসেম সবুজ এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাবের পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকায় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন মাটিডালী বিমান মোড়স্হ সানসাইন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মোঃ বিপুল মিয়াকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো চাকু দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে হোটেলর স্টাফ ও স্হানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বিপুলকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভিকটিমকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২১.৩০ ঘটিকায় বিপুল মারা যান।

নিহত বিপুল (৪২)গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ শারমারা ইউনিয়নের নিমারপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ এর উপজেলা ছেলে।

এই ঘটনার পর থেকেই র‍্যাব-১২, বগুড়া হত্যার করাণ অনুসন্ধান এবং হত্যসকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চালাতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ডিসেম্বর রাত ২.৫০ ঘটিকায় র‍্যাব-১২, বগুড়া ও র‍্যাব-০৫, জয়পুরহাট এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁর পতনীতলা এলাকা থেকে ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে আলিফকে গ্রেফতার করে।

আরও উল্লেখ করা হয়, আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, আসামী আলিফ শেখ ও ভিকটিম বিপুল একই হোটেলে(সানসাইন আবাসিক) কে চাকুরী করতো।

প্রায় দুই আড়াউ বছর বা তারও আগে যেকোনো কারণে গ্রেফতারকৃত আলিফ চাকুরীচ্যুত হয়।তখন থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ এর ধারণা ছিল, বিপুলের জন্য সে চাকুরী হারিয়েছে। চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই গ্রেফতারকৃত আলিফ ভিকটিমের নিকট থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতো।

প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে বিপুল তাকে চাঁদা দিতো বলেও জানান আলিফ। ঘটনার দিন আসামী আলিফ বিপুলের নিকট চাঁদা নিতে আসলে বিপুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ রাগান্বিত হয় এবং তার সঙ্গে থাকা অপর ৩জনসহ বিপুলকে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের সময় আসামী মদ্যপ ছিল বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

আরও বলা হয়,গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ শেখ অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর