নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশায় ক্যাম্পাস


ডিআইইউ প্রতিনিধি: নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা থাকে আমাদের সকলের। ২৪ এর জুলাই বিপ্লব এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা দাবি-দাওয়া তুলছে, শিক্ষানবিশ পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বছরের প্রত্যাশা জানতে চাইলে এতে উঠে আসে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধানের কথা।
আর সেসব কথা তুলে ধরেছেন বৈশাখী নিউজ২৪ এর ডিআইইউ’র ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আল শাহরিয়ার সুইট
শিক্ষার্থীদের সমস্যাগোলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা আরও মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখতে চায়। তারা চায় উন্নত পাঠ্যক্রম ও আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার।
লাইব্রেরি, গবেষণাগার, ওয়াইফাই, এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুবিধা যাতে সহজলভ্য হয়, সে আশা করে।
অনেক শিক্ষার্থী চায় আরও বেশি বৃত্তি বা আর্থিক সহায়তা যেন পাওয়া যায়, যা তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করবে।
শিক্ষার্থীরা চায় ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট, ইন্টার্নশিপ, এবং অন্যান্য কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং সহায়ক ক্যাম্পাস পরিবেশ তৈরি করাও শিক্ষার্থীদের একটি বড় চাওয়া
প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এবং তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করা
মোছাঃ তাসলিমা আক্তার
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন প্রশিক্ষন ও যৌক্তিক সুবিধা নিশ্চিত করণ। পুরোনো স্মৃতি ও গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন রুপে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা মানুষের আকাঙ্খা। সে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিটি মানুষ নতুন বছর নেয় নতুন নতুন শপথ।
দেশ গড়ার মূল কারিগর শিক্ষার্থীদের পূর্নাঙ্গ রুপে প্রস্তুতে অপ্রতুল ভূমিকা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন বছর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন নিজেদের দূর্বলতার দিক সবল করে গড়ে তুলতে পারে নিজেদের এই প্রত্যাশা আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থীর।
প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে আর্থিক চাপের কারনে, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যদি যথাযথ সহায়তা কর তবে এই আর্থিক চাপ থেকে মুক্তি পাবে অসংখ্য শিক্ষার্থী।
সামান্য ওয়েভার যে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান এর কাছে সোনার হরিন তা অস্বীকার করা যায় না। তাই নতুন বছরে প্রত্যাশা করছি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেয়া হোক উন্নত প্রশিক্ষন যেন তারা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে,অপ্রয়োজনীয় কোর্সের চাপ থেকে দেয়া হোক মুক্তি,মানষিক সাস্থ্যের উন্নতির জন্য দেয়া হোক উপযোগী কাউন্সিল।
নতুনভাবে সম্মৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সুবিধা নিশ্চিত করণই যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি নতুন বছরের চাওয়া।
সামছ নুর ইয়াছির তাওরাত
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বের হতে হবে। বর্তমানে তরুণরা বেশিরভাগই রাত জাগে এবং দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে।
সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়া এবং নেতিবাচকতার মধ্য দিয়ে আমাদের সময় কাটে। লকডাউনে এগুলো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
তাই ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বের হয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে যাওয়া উচিত। পড়ালেখার পাশাপাশি আমাদের উচিত দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করা।
নতুন প্রজন্ম হিসেবে দেশকে পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরাটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটি কেবল দেশপ্রেম, ইতিবাচক মনোভাবের মধ্য দিয়ে সম্ভব।
মোঃ সাজেদুর রহমান
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বান্ধব হয়ে উঠুক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে চাই অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে।
কারণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছর শুরু হতে না হতেই ভেবে নিতে হয় পুরো বছরের কার্যক্রম।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের নীতিমালা কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। কেননা সেখানে ক্ষমতার যে প্রয়াস লোভ এটা পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে কিছু শিক্ষার্থীদের মাঝে।
আবার একই দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা প্রায়ই শিক্ষার্থী হয়রানির কথা শুনতে পাই। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করে।
যেমন: সময় মত সার্টিফিকেট প্রদানে বিলম্ব, দুর্ব্যবহার করা, তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করা ইত্যাদি। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বান্ধব হয়ে উঠুক। সকল শিক্ষার্থী হয়রানির অবসান ঘটুক।
মোঃ আল শাহারিয়া সুইট
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি