বগুড়ার শিবগঞ্জে নলকূপের মালিকের হাত পা বেধে ট্রান্সফর্মার চুরি


শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে গভীর নলকূপের ট্রান্সফর্মার ও মিটার চুরির হিরিক মোবাইল নম্বর দিয়ে চাঁদার দাবি।
বগুড়ার শিবগঞ্জে গভীর ও অগভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও মিটার চুরির হিরিক।
মোবাইল নম্বর দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবি অপর ঘটনায় গভীর নলকূপের মালিকের হাত-পা বেঁধে নলকূপের ঘরে আটক রেখে ৩টি ট্রান্সফর্মার চুরির ৬ ঘন্টা পর রক্তাক্ত অবস্থায় ভোর রাতে উদ্ধার।
জানা গেছে,উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপুরা গ্রামের কৃষক তমিজ মন্ডল দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ির পার্শ্বে মাঠে অগভীর নলকূপ দ্বারা জমিতে সেচ কার্য পরিচালনা করে আসছে।
গত শুক্রবার রাতে অগভীর নলকূপের ৩টি ট্রান্সফর্মার কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে ঐ এলাকার কৃষকর সেচ কার্য নিয়ে চিন্তিত।
এ ব্যাপারে অগভীর নলকূপের মালিক তমিজ মন্ডল বলেন, চোরের দল ইতি পূর্বে ৩ বার মিটার ও ট্রান্সফর্মার চুরি করে নিয়ে গেছে এবং টাকা বিনিময়ে মিটার ফেরত পেয়েছি।
গত শুক্রবার রাতে আবারও ৩টি ট্রান্সফর্মার চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ০১৮৭৪-৬৭০৪৮১ নং মোবাইল নম্বর ঝুলিয়ে দেয় এবং আমি উক্ত নম্বরটিতে ফোন করলে চোরের দল বলে যে, উক্ত বিকাশ নম্বরে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করলে ট্রান্সফর্মার ফেরত দেওয়া হবে।
উল্লেখিত বিকাশ মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার গভীর নলকূপের মিটার চুরি হয়েছে।
আমি তাদের অজ্ঞাত নাম্বারে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে মিটার পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, মিটার ও ট্রান্সফর্মার চুরিসহ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছি।
অপর দিকে গত শুক্রবার রাতে উপজেলা হাটগাড়ী গ্রামের কৃষক আবুল হোসেনের অগভীর নলকূপের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে যায়।
অপর দিকে গত (২ জানুয়ারি) রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের দোপাড়া গ্রামের কৃষক মুর্তজা আলী মটুর গভীর নলকূপ পাহারা দেওয়ার জন্য রাত ১১টায় গেলে সংবদ্ধ চোরের দল পিছন থেকে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে আহত করে।
চোরের দল কৃষকের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ও মুখে টেপ দিয়ে নলকূপ ঘরে ৬ ঘন্টা আটক রাখে।
তার মাথায় হাতে ও পায়ে চাকু দিয়ে রক্তাক্ত করে জখম করে এবং ৩টি ট্রান্সফর্মার খুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে কৃষক মটু শিবগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মটু বলেন, আমার ৩টি ট্রান্সফর্মার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা হবে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।