মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, না পেয়ে হত্যা

আপডেট: March 12, 2025 |
inbound1930918106889316350
print news

লালমনিরহাটে ১০ বছর বয়সী শাকিল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১১ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে- গতকাল (১১ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকার আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শাকিল অপহরণ হয়। পরে ওইদিন বিকেলে ০১৩২০৯৮৫১৪৬ মোবাইল নাম্বার থেকে করে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে। পরদিন(১১ মার্চ) দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটককৃত সোহানের দেয়া তথ্য মতে অপহরণের পরদিন(আজ) সহিদুলের বাড়ি সংলগ্ন একটি কাচা সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক বলেন, গতকাল বিকেলে শুনেছি শিশু শাকিল অপহরণ হয়েছে। পরে টাকা দাবি করে শাকিলের মায়ের মোবাইল ফোন করে অপহরণকারীরা। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানায় শাকিলের পরিবার। আজ মরদেহ উদ্ধার হলো। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরনবী বলেন, শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক সোহানের দেয়া তথ্যেই শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও হত্যায় প্রকৃত পক্ষে কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত ও আটককৃতদের আরো জিজ্ঞাবাস করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর