আদালতে নিজেকে করোনা রোগী দাবি সাহেদের

আদালতে নিজেকে করোনা রোগী দাবি করলেন করোনা রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আবু আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে একথা জানিয়ে বলেন, আদালতে শাহেদ বলেছেন যে তিনি নিজেই করোনা রোগী।

জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

এর আগে পুলিশ শাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।

শাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন তারা জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে।

তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক তাই তারা পালিয়ে যাবে না। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করে আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেছিলাম।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আবু আব্দুল্লাহ বলেন, অভিযুক্তরা করোনা ভাইরাসের ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। এমনকি বিদেশ থেকেও এজন্য অনেককে ফেরত আসতে হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুরের অনুরোধ করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, শাহেদ বলেছেন তিনি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেই করেই কাজ করেছেন। তখন আমরা বলেছি তিনি প্রতারণা করেছেন, ভূয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

এর আগে শাহেদ ও মাসুদ পারভেজকে হাতকড়া পরিয়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়।

এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো।

প্রসঙ্গত, প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় ইতোপূর্বে শাহেদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০টি মামলার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের ভুয়া টেস্ট ও জাল সনদ প্রদানের ঘটনায় বুধবার ভোরে ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় দেবহাটার শাঁখরা কোমরপুর সীমান্ত থেকে সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছিলো র‍্যাব। আদালত আজ তাকেও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি