দেশে সুস্থতার হার বেড়েছে, সংক্রমণও থেমে নেই
বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর দেশগুলো যখন করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা, তখন অনেকটা স্বস্তিতে বাংলাদেশ। পূর্বের তুলনায় এখানে বেড়েছে সুস্থতার হার। তবে থেমে নেই সংক্রমণও।
আগের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার হার কমেছে। ফলে শনাক্তও কম হচ্ছে। তবে, প্রাপ্ত নমুনায় শনাক্তের হার একেবারেই কম নয়।
এর মধ্যে করোনাক্রান্তদের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। এরপরই চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ।
দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ প্রায় ২৯ হাজার। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রন্তদের মধ্যে না ফেরার দেশে ৩ হাজার ৫৯১ জন। তবে, সুস্থতা লাভ করেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩ জন রোগী।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ হাজার ৭৫২ জন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজারের কাছাকাছি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের দু’জনই ছিলেন বর্তমান করোনায় ছেয়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। অন্যজন মাদারীপুরের। শুরুতে বিদেশফেরতদের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ালেও এখন তা প্রকট আকার ধারণ করেছে অবাধ চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত শুধু ঢাকা জেলাতেই আক্রান্ত ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২২৪ ও নারায়ণগঞ্জে ৬ হাজার ৩৩ জন।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুরে নতুন একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ে আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও তার পরিবারের সকল সদস্যসহ নতুন করে আরও ২১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৭ জনে। এর মধ্যে ৩০৬ জন সুস্থতা লাভ করেছেন।
কুষ্টিয়ায় আরও ৪৭ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ২৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজর ৫৭৮ জনই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীতে নতুন করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজর ৬২ জনে ঠেকেছে। এর মধ্যে পুনরুদ্ধার হয়েছেন ৮৪৩ জন।
এছাড়া, দেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি সংক্রমণ আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে , ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া. ফরিদপুর, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালে ও কক্সকাবাজারে আক্রান্তের হার বেশি। তবে, সুস্থতাও কম নয়।
আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা