ঘর দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুমিল্লার গৃহবধূকে ধর্ষণ

আপডেট: October 4, 2020 |

ঘর দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করলেন ইউপি সদস্য। একটি ঘরের আশায় ইউপি সদস্যের কাছে দেয়া হয়েছিল এনআইডি কার্ড ও ছবি। পরে সেই ঘর পাওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতেএকাধিকবার ইউপি সদস্যের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু তারপরও ঘর না পেয়ে তিনি ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ।কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে কুমিল্লার নারী-শিশু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
আদালত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লার পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে মামলার নথি পিবিআই কুমিল্লা কার্যালয়ে পৌঁছিয়েছে।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি গ্রামের এক সিএনজি চালকের স্ত্রী একটি বাসগৃহের জন্য স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের কাছে অনুরোধ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ওই গৃহবধূকে একটি ঘর দেয়ার আশ্বাসে তার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ার পর ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন । এক পর্যায়ে মজিবুর রহমান তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে ওই গৃহবধূ প্রথমে রাজি না হলেও ঘর দেয়ার প্রলোভনসহ নানা কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে ।এদিকে ইউপি সদস্যকে সরকারি বরাদ্দে ঘর প্রদানের জন্য বারে বারে চাপ দিতে থাকেন গৃহবধূ।
সর্বশেষ গত ১০ই সেপ্টেম্বর পুনরায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় পালিয়ে যান ইউপি সদস্য।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমি সুস্থ হয়ে ঘটনার দু’দিন পর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লার পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
ওদিকে , অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। এ সব ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে একে একে চারটি মামলা দিয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম মিয়া বলেন, আদালত থেকে ধর্ষিতার অভিযোগ পেয়েছি। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর