শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র

সময়: 3:36 pm - April 26, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 1 বার

১০৭ রানের লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় সেশনে খেলতে নেমে তামিমের ঝলকে ২ উইকেটে ১০০ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্ত চা বিরতির পর বৃষ্টির কারণে আর খেলা গড়ায়নি মাঠে। শেষ পর্যন্ত ড্র হয় ওয়ালটন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্ট।

স্কোর: বাংলাদেশ ১০০/২ (তামিম ৭৪*, মুমিনুল ২৩*); বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৪১/৭ ডিক্লে, শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস ৬৪৮/ডিক্লে

শান্তর ১৬৩ ও মুমিনুলের ১২৭ রানে প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে। জবাবে খেলতে নেমে করুণারত্নে ডাবল সেঞ্চুরি ও সিলভার সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ১০৭। এই লিডকে সামনে রেখে খেলতে নেমে ২ উইকেটে ১০০ রান করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তামিমের রানই ৭৪। মাত্র ৯৮ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে এই রান করেন তামিম। তার সঙ্গে মুমিনুল অপরাজিত ২৩ রানে।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া লিড থেকে আর মাত্র ৭ দূরে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৩৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ২ উইকেটে ১০০ রান। ক্রিজে আছেন তামিম ইকবাল ৭৪ ও মুমিনুল হক ২৩ রানে। শুরুতেই ১ ও ০ রানে ফেরেন সাইফ-শান্ত। দ্বিতীয় সেশন শেষে চা বিরতির মাঝেই আসে বৃষ্টি। আপাতত মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাভার দিয়ে। বন্ধ রয়েছে খেলা।

বৃষ্টিতে বন্ধ তৃতীয় সেশনের খেলা

শ্রীলঙ্কার দেওয়া লিড থেকে আর মাত্র ৭ দূরে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৩৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ২ উইকেটে ১০০ রান। ক্রিজে আছেন তামিম ইকবাল ৭৪ ও মুমিনুল হক ২৩ রানে। শুরুতেই ১ ও ০ রানে ফেরেন সাইফ-শান্ত। দ্বিতীয় সেশন শেষে চা বিরতির মাঝেই আসে বৃষ্টি। আপাতত মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাভার দিয়ে। বন্ধ রয়েছে খেলা।

তামিমের ফিফটিতে লিড পেরোনোর পথে বাংলাদেশ

দলীয় রান যখন ৫২ তখন তামিমের রান ৫০। ভিশ্ব ফারনান্দোকে টানা দুই চার মেরে ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার ৫৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৭টি চারে। তার ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া লিড টপকে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ।

থার্ড আম্পায়ারে তামিমের রক্ষা

ইনিংসের শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। ৭ ওভারে দলীয় ২৭ রানের মধ্যে তার রান ছিল ২৬। এই রান নেন মাত্র ২৩ বলে। ২৯ রানের সময় ধনাঞ্জয়ার বলে ড্রাইভ করেছিলেন, তা ধরা পড়ে শর্টে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। আউট দিয়ে দেন (সফট সিগনাল) মাঠের আম্পায়ার। এরপর রিভিউতে দেখা যায় বলটি স্পর্শ করেছিল মাটিতে। থার্ড আম্পায়ার বারবার দেখে নট আউট ঘোষণা করেন। বেঁচে যান তামিম।

সাইফের পর শান্ত ফিরলেন শূন্য রানে

প্রথম ইনিংসে নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাট থেকে এসেছিল সর্বোচ্চ ১৬৩ রান। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেই ফিরলেন ০ রানে। এবারও আক্রমণে লাকমল। তার লেংথ বলে ডিফেন্সিভ খেলার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত, কিন্তু একটু দেরি হয়ে যায়। ভেঙে যায় শান্তর স্টাম্প।

 

সাইফ এবার ১ রানে আউট

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সাইফ হাসান। এবার আউট হলেন ১ রানে। সুরঙ্গ লাকমালের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন ০ রানে।

 

শ্রীলঙ্কার ইনিংস ঘোষণা

মধ্যাহ্ন বিরতির পর আর ব্যাটিং করতে নামেনি শ্রীলঙ্কা। ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। বাংলাদেশের সামনে লিড ১০৭।তৃতীয় দিন বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণার পর ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন কোনো উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। করুণারত্নে ডাবল সেঞ্চুরি ও সিলভা সেঞ্চুরি করেন। ৩ উইকেটে ৫১২ রান নিয়ে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। ২৯ রানে পছিয়ে থেকে আজ পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করে আরও ১৩৬ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করে। এ দিন প্রথম সেশনে পাঁচ উইকেট হারায় দলটি। করুণারত্নে সর্বোচ্চ ২৪৪ ও সিলভা ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাসকিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে লিড ১০৭

প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কা চেষ্টা করছে দ্রুত রান তোলার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে লিড দিয়েছে ১০৭ রান। এর মধ্যে হারিয়েছে ৫টি উইকেট। দিনের শুরুতে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান করুণারত্নে-ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দেন। এরপর আঘাত হানেন এবাদত-তাইজুল। একজন রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্রথম সেশনের ৩০ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৪.৫৩ গড়ে তুলেছে ১৩৬ রান। তবে বাংলাদেশ দ্রুত উইকেট না নিতে পারলে শ্রীলঙ্কার লিড নিঃসন্দেহে আরও বড় হতো।

 

হাসারাঙ্গাকে ফেরালেন তাইজুল

তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তাইজুলের বলটি হালকা ঘুরেছিল। হসারাঙ্গার ব্যাক প্যাড ছুঁয়ে লাগে স্টাম্পে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ৪৩ রান।

বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কার লিড ১০০

১০০ ছড়ালো শ্রীলঙ্কার লিড। ১৭৭ ওভারের সময় হাসারাঙ্গার ব্যাটে শ্রীলঙ্কার লিড পৌঁছায় তিন অঙ্কের ঘরে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।

রানআউট হয়ে সাজঘরে ডিকওয়ালা

হাসারাঙ্গার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিরোশান ডিকওয়ালা। মিরাজের বলে মিড অনে খেলে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন। দুজন পিচের মাঝে চলে আসেন। ততক্ষণে বল চলে যায় লিটন দাসের হাতে। তিনি স্টাম্প ভেঙে রানআউট করতে ভুল করেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৩১ রান।

 

শ্রীলঙ্কার ৬০০

মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ৬ মেরে দলীয় স্কোর ৫৯৯ নিয়ে যান সুরঙ্গ লাকমল। এরপরেই সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন ৬০০। দিনের শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছে স্বাগতিকরা। ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করেছিল তারা। ১৬৯ ওভারের তৃতীয় বলে ৬০০ টপকে বাংলাদেশকে লিড দেয় ৫৯ রান

তাসকিনের পর এবাদতের আঘাত

নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সাফল্য পান এবাদত। তাসকিন-রাহিকে দিয়ে ১০ ওভার করানোর পর এবাদতের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল। তার করা আউটসাইড অফের বল নিসানকার ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। নিসানকার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১২ রান।

 

তাসকিনের জোড়া আঘাত

টানা দুই ওভারে শ্রীলঙ্কার দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাসকিন। সেঞ্চুরিয়ান সিলভাকে পরাস্ত করার পর সাজঘরে ফেরান ডাবল সেঞ্চুরিয়ান দিমুথ করুণারত্নকে। তাসকিনের শর্ট বলে মিডউইকেটে পুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ধরা পড়ে যান ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩৭ বলে ২৪৪ রান। তিনি ব্যাটিং করেন ৬৯৮ মিনিট।

বাংলাদেশের রান টপকে শ্রীলঙ্কার লিড

পঞ্চম ও শেষ দিন খেলা শুরুর ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশের ৫৪১ রান টপকে প্রথম ইনিংসে লিড দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এর পরে নতুন ব্যাটসম্যান নিসানকা আবু জায়েদ রাহীকে চার মেরে বাংলাদেশের রান টপকে লিডের সূচনা করেন।

সিলভাকে ফেরালেন তাসকিন

পঞ্চম দিনের শুরুতেই সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে। তাসকিনের আউট সাইড অফের বল ব্যাট ছুঁয়ে লাগে সিলভার স্টাম্পে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯১ বলে ২২ চারে ১৬৬ রান।

 

ক্যান্ডি টেস্টে রোমাঞ্চ নাকি ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র

দুই দফায় আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ থাকার পর নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে চতুর্থ দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ৩ উইকেটে ৫১২ রানে রোববার শেষ দিন মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা, এখনও তারা ২৯ রানের পিছিয়ে।

ক্যান্ডির ফ্ল্যাট উইকেটকে স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছেন ব্যাটসম্যানরা। এই টেস্ট কি শেষ পর্যন্ত ড্র হবে নাকি অপেক্ষা করছে রোমাঞ্চ? এর আগে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে কাইল মায়ার্স মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে। অথচ এই ম্যাচে সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

বোলাররা কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না উইকেট থেকে। তাতে গতকাল চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। এ নিয়ে টেস্টে চতুর্থ বার বাংলাদেশ গোটা দিনে কোনও উইকেট পেলো না। এর আগে ২০০৩ ও ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে এমন হাহাকারময় দিন দেখেছিল তারা।

বৈশাখীনিউজইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর