আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে মার্কিন সেনারা

আপডেট: May 1, 2021 |

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর তালেবানদের পরাস্ত করতে দেশটিতে অবস্থান নেয় মার্কিন সেনারা। গত বছর কাতারে তালেবানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় শান্তি চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকার।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণায় প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে মার্কিন সেনারা।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পরপরই আল-কায়েদার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। লাদেনকে আশ্রয়দাতা হিসেবে তালেবানকেও অভিযুক্ত করা হয়।

এর পর ওই বছরের ৭ই অক্টোবর আফগানিস্তানে তালেবান ও আল কায়েদার অবস্থানে হামলা চালায় বুশ প্রশাসন। মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ন্যাটো বাহিনীও। পরের বছর আফগানিস্তানকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ।

বিলিয়ন ডলার খরচ করে সেনা ঘাঁটি তৈরি করা হয় আফগানিস্তানে। মার্কিনিদের সবচে বড় টার্গেট বিন লাদেন পালিয়ে যান পাকিস্তানে।

২০০৯ সালে ওবামা সরকার ক্ষমতায় এসে সেখানে আরও ১৭ হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানের আবোতাবাদ শহরে পালিয়ে থাকা লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন এলিট ফোর্সের সদস্যরা।
আপাতদৃষ্টিতে নতিস্বীকার করলেও তালেবানদের কখনোই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী।

ট্রাম্পের আমলে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন। তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সরকার সমঝোতার উদ্যোগও নেয়। ২০২০ এ কাতারে ত্রিপক্ষীয় শান্তি চুক্তি হয়।

শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় এসে গেল ১৩ এপ্রিল জো বাইডেন ঘোষণা দেন সবশেষ প্রায় আড়াই হাজার সৈন্য সরিয়ে নেয়ার।

আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধে মারা গেছে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের। প্রাণ গেছে মার্কিন সেনাদেরও।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর