র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেফতার


মোহাম্মদ রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার মো. হক সহ ৪ জনকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ১) মো. হক সাব (২৩) প্রকাশ মাদক সম্রাট, পিতা: শাহ আলম, সাং- খিলমুরারী, থানা- জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম। ২) মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (২৪), পিতা- মো. আলমগীর হোসেন,সাং-হিংগুলী, থানা- জোরারগঞ্জ,জেলা-চট্টগ্রাম। ৩) চাঁন মিয়া (২৮), পিতা- আব্দুর রহিম, সাং-চরপাড়া, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, এবং ৪) সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগ (৩০), পিতা- তারা মিয়া, সাং- আকতার পাড়া, থানা- দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জেলা- সুনামগঞ্জ।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২:৩০ মিনিটে র্যাব-৭ এর সিপিসি-১ ফেনী ক্যাম্প এ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে গতকাল খবর পাই একটি ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে বারৈয়ারহাট এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
এসময় চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে সেটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। পরে কৌশলে গাড়িটিকে আটক করা হয়।
আটককৃত গাড়ির ভেতর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটিট টি কার্তুজ, ৩৪টি অটোরিক্সার ব্যাটারি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, একটি পিকআপসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা জানায়, ডাকাত দলটি হাইওয়ে এবং আন্তঃজেলা ডাকাতির সাথে জড়িত।
এ দলের বেশিরভাগ সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করে মালামালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে গমন করে।
ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখী সাধারণ মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হকের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ এবং সীতাকুণ্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যাচেষ্টা এবং অস্ত্র আইনসহ মোট ২০টি মামলা এবং সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চুরি, হত্যার চেষ্টা ও মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে।