যৌক্তিক চিন্তাভাবনার জন্য শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিখতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

আপডেট: June 5, 2022 |

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য-সমাজ প্রতিষ্ঠার উপযোগী মানব সম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য-সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে শিশু-কিশোরদের মাঝে ডিজিটাল প্রোগ্রামিং শিক্ষার প্রসার অপরিহার্য। কারণ,যৌক্তিক চিন্তাভাবনার জন্যই প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। যদি কেউ প্রোগ্রামিং বা কোডিং জানে তাহলে তার কাছে পৃথিবীর কোন কাজই কঠিন হবে না।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় ইএমকে সেন্টার ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাাপী প্রাথমিক শিক্ষায় কোডিং বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী সাংবাদিক মুনীর হাসানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাথমিক শিক্ষাক্রম কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সোয়াপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ হোসাইন এবং প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের পক্ষে বাংলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসরাত জাহান বক্তৃতা করেন। ।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে না পারলে কাঙ্খিত বাংলাদেশ তৈরি করা যাবে না। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে।’

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে দীর্ঘ ৩৫ বছরের পথচলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়া লেখা না করেও জীবনের পাঠশালা থেকে এই বিদ্যা আয়ত্ত্ব করেছি। একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে সবাই তা পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং নিয়ে আয়োজিত উদ্যোগে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ায় আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সব কিছুর মূল সমাধান লুকিয়ে আছে শিক্ষায়।

তিনি এ সময় ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের সাথেও মতবিনিময় করেন।

ড. জাফর ইকবাল প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে আপনারা এমনভাবে প্রোগ্রামিং শেখানোর পদ্ধতি তৈরি করবেন, যেন শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং ভীতিটা গোড়া থেকেই দূর হয়। যাতে তারা বড় হয়ে সফটওয়্যার-ভিত্তিক জটিল সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা পদ্ধতির মূল্যায়ন বদল করা হয়েছে। এছাড়া ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। -বাসস

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর