সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল ‘সাঁতাও’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল শরিফ উল আনোয়ার সজ্জন প্রযোজিত ও খন্দকার সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’।

আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেন্সর সার্টিফিকেট পায় সিনেমাটি।

জানা গেছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনের চিত্রায়নের প্রয়াসেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’। চলচ্চিত্রটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক।

নদীর অববাহিকায় সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা  গ্রাম। নানান প্রকল্পের নাম করে নদীর উপর একের পর এক বাঁধ নির্মিত হয়েছে। উজানে বাঁধের কারণে নদীর ভাটি অঞ্চল প্রায় মরু ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। কৃত্রিম ভাবে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও কৃষি কাজ চললেও গ্রামের সাধারণ কৃষকের জন্য এই পদ্ধতিতে চাষবাস ব্যয়বহুল। সেচ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রক গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। কৃষকের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে দাদন ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা গুলো। গ্রামে এক দিকে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির চাপ অন্য দিকে কৃষি কাজের বৈরি পরিবেশ, কৃষকেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে যাচ্ছে, জীবনের মায়া না করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। নানান দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরছে গ্রামে। এমন সব চলমান ঘটনার বিপরীতে থাকা একজন সাধারণ কৃষক ফজলু। মাতা-পিতাহীন ফজলু বিয়ে করে উজানের  গ্রামের মেয়ে পতুলকে। ফজলু এবং পুতুল দম্পতির পরিবারে একটি গরু নতুন সদস্য হয়ে আসে। ফজলু, পুতুল এবং গরু নিয়ে এগুতে থাকে সাঁতাও চলচ্চিত্রের গল্প।

কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত হয়েছে পুর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’ এর কাহিনী।

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফরিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকারসহ আরও অনেকে।

আইডিয়া এক্সচেঞ্জ এর ব্যানারে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন শরিফ উল আনোয়ার সজ্জন।

পরিচালনা, কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন। সম্পাদনা, রং-বিন্যাস, এফেক্ট ও টাইটেল, সাউন্ড ডিজাইন ও সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ, শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রহণে ছিলেন সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন, আবহ সংহীত করেছেন মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ, গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রাব্বী, লায়লা তাজনূর সাউদী, ও লিমা হক।