জবিতে নিরাপত্তা কর্মীর সংকট, বাড়ছে চুরির ঘটনা

আপডেট: October 23, 2022 |

মো. আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিরাপত্তা কর্মীর সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রত্যাশিত ১০২ জন নিরাপত্তা কর্মীর বিপরীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন মাত্র ২৫ জন।

এ ছাড়াও বেশকিছু নিরাপত্তাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ও বিভাগে কাজ করছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং প্রায়ই ঘটছে চুরি ও ভাংচুরের ঘটনা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো ভবন, গাড়ি পার্কিং, চারটি গেট, এবং একটি ছাত্রী হলের নিরাপত্তার জন্য মোট ২৫ জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। এদিকে গত ৭ অক্টোবর এবং ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় প্রায়ই বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।

নিরাপত্তারক্ষী মোহাম্মদ আবুল হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘লোক কম তাই আমরা ঠিকভাবে পাহাড়া দিতে পারিনা। এর মধ্যে আবার কিছু চুরি হলে সমস্ত দোষ আমাদের উপরে আসে। আমাদের অনেক লোক বিভিন্ন দপ্তরে ও বিভাগে কাজ করার কারণে আমরা সংখ্যায় অনেক কমে গেছি, যার কারনে পাহাড়া দেওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। দেখা গেছে কাগজে-কলমে আমরা গেটের দুই বা তিন জন লোক থাকলেও বাস্তবে থাকি একজন। যখন একজন ডিউটিতে থাকে তখন সে যদি প্রস্রাব করতে যায় তখন গেট ফাঁকা হয়ে যায়। সে সময় বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে চুরির মত ঘটনা ঘটায়।

নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার সাইদুর রহমান রনি বলেন, ‘ বর্তমানে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অপ্রতুল। আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির নিকট ১০২ জন নিরাপত্তাকর্মীর জন্য আবেদন করেছি। বর্তমানে আমাদের ৬ জন নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছে ছাত্রী হলে। বাকি ১৯ জন ৬ জন করে তিন শিফটে কাজ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মোট ১৪টি ভবন ও চারটি গেইট আছে এ ছাড়াও অনেক স্থাপনা আছে যেখানে নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনভাবেই ৬ জন নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিরাপত্তা কর্মীর সংকটের মধ্যেও ২৫ জন নিরাপত্তা কর্মীর বাইরে আরও প্রায় ৬ জন নিরাপত্তা কর্মী বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগে কাজ করছেন। তারা হলেন, বেলামিন (অর্থ দপ্তর), আব্দুর রাজ্জাক (কন্ট্রোল অফিস), বারেক হাওলাদার সেলিম (বংলা বিভাগ), মো.সোহেল(প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস), সজিব (কাউন্সিলং অফিস) ও মো. নরুল ইসলাম মসজিদে কর্মরত আছেন।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে রেজিস্টার ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘ আমাদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রচুর সংকট। আমাদের কিছু বিভাগ ও দপ্তরে অফিস সহকারী নাই যার কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল, তাই বাধ্য হয়ে কিছু নিরাপত্তা রক্ষীকে দপ্তরে নিয়োগ দিতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন,’আমরা ইতিমধ্যে ইউজিসির নিকট মোট ৩০০ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর জন্য আবেদন করেছি। নতুন করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ছাড়া সমস্যাটির সমাধান কোনভাবেই সম্ভব নয়।’

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের যা নিরাপত্তা কর্মী আছেন তারা যদি ঠিক মতো ডিউটি করেন তাহলেই কোনো সমস্যা হতো না। আমি ডিউটি অফিসারকে বলেছি কে কোন জায়গায় কোন শিফটে ডিউটি করবে তার লিস্টটা আমার কাছে দেওয়ার জন্য।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর