গাজীপুরে নিখোঁজের ২ বছর পর যুবকের মাথার খুলি উদ্ধার
গাজীপুরে নিখোঁজ হওয়ার দুই বছর পর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে নগরীর নান্দুন কড্ডা এলার একটি বাড়ির ঘরের নীচ থেকে মাটির খুঁড়ে নিহত ওই ব্যক্তির মাথার খুলিসহ হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
খুন হওয়া ওই ব্যক্তির মিনারুল জামালপুরের বকশিগঞ্জ থানার পলাশতলা এলাকার নুরুবক্তার ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান জানান, গত ২২ অক্টোবর বাসন থানার কড্ডা এলাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ ৯টি মাদক মামলার আসামি মোঃ আলমকে মাদক ব্যবসায়ীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে জানায় যে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে বাসন থানাধীন নান্দুন কড্ডা এলাকার মোল্লাপাড়ার জনৈক হালিমের বাড়ির ভাড়া করা রুমে মাদক ব্যবসার টাকা মাদকের টাকার ভাগাভাগি ও পূর্বের একটা হত্যা মামলা (নিখোঁজ মিনারুলের বড়ভাই মিজান হত্যা মামলার বাদী) তুলে নিতে চাপ দিলে হাতাহাতি ও কাথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে আসামী আলমসহ ৪/৫ জন মিনারুলকে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে এবং মৃতদেহ বাড়ি হতে একটু সামনে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখে। এর পর থেকে মিনারুল নিখোঁজ ছিল।
নিহত মিনারুলও মাদক ব্যবসায়ী, তার নামে বিভিন্ন থানায় ৬/৭টি মামলা রয়েছে। মিনারুল নিখোঁজ হওয়ার পরে তার স্ত্রী মৌসুমী গত ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি কোনাবাড়ি থানায় তার স্বামী নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করেন এবং পরে র্যাবের নিকট অভিযোগ করেন।
বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে লেনদেন এবং পূর্ব শত্রæতার জেরে আসামি আলম তার সহযোগীদের নিয়ে মিনারুলকে হত্যার পর নগরীর নান্দুন কড্ডা এলাকায় একটি বাড়ির পাশে মাটিতে পুঁতে রাখে। মাদক মামলায় আলম পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে ওই স্থান থেকে মিনারুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের উদ্ধার হওয়া মাথার খুলিও হারগোড়সমূহ ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।