গ্রাম্য শালিশে এক পরিবারকে গৃহবন্দী রাখার অভিযোগ


আলী আজগর পনির, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে একটি পরিবারকে ৩দিন ধরে গৃহবন্দি ও অবরুদ্ধ করে রেখেছে, দরবার শালিশের মাধ্যমে অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
৩ দিন ধরে গৃহবন্ধী করে রাখার কারণে,ওই ভুক্তভোগী পরিবার আমিনুল ইসলাম ( ৪০) এর শিশু বাচ্চা অসুস্থ ডাক্তারের কাছেও নিয়ে আসতে দিচ্ছে না, তোতা মিয়ার লোকজন মিলে।
গবাদি পশুর ঘরে রয়েছে তালা ঝুলানো অবস্থায়, ঘাস খরকোটা খাওয়ানোর জন্য গবাদি পশু বের করে কোথাও নিয়ে যেতে পারছে না, ভুক্তভোগী পরিবারটি এ নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে তিরদিন ধরে।
এ বিষয়ে (২৯ জুলাই) রোজ শনিবার সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত বাচির উদ্দিন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম তার বসতবাড়ি ৬.৪৩ পয়েন্ট জমি বিক্রি করে, প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান মিয়ার ছেলেদের কাছে।
শফিকুল ইসলাম মিয়ার জমিটা কেনার পর থেকে হাবিবুর রহমানের পরিবারকে গৃহবন্দী ও অবরুদ্ধ করে রাখে, প্রতিবেশী মৃত মুসলিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া(৪০) ও তার লোকজন মিলে।
হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ৩৫) বলেন, প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম তার জমিটা ঋণ গোস্ত হওয়ার কারণে, বিক্রি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজনের কাছে বলাবলি করছে।
কেউ জমিটা ক্রয় করতে রাজি হচ্ছে না। এমতাবস্থায় মৃত বাচির উদ্দিন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম, আমাদের বাড়িতে আসে জমিতে বিক্রি করার জন্য ।
দামে মূলে হওয়া জমিটা ক্রয় করেছি আমরা।
উক্ত জমিটা কেনার কারণে, আমাদের বাড়িঘর গৃহবন্দী ও অবরুদ্ধ করে রয়েছে তোতা ও আশেপাশের লোকজন মিলে।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী, তুহুর মাস্টার বলেন, শফিকুল ইসলাম তার চাচাতো ভাই, তোতা মিয়ার কাছে জমিটা বিক্রি না করে, অন্যত্র বিক্রি করায়, দরবার সালিশের মাধ্যমে তাদের সাথে কথাবার্তা না বলার জন্য, নিষেধ করা হয়েছে তোতা মিয়া ও তার লোকজনকে। গৃহবন্দি করে রেখেছে বিষয়টা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়া তিনি বলেন, দরবার সালিশের মাধ্যমে, তোতা মিয়া কে বলা হয়েছে, হাবিবুর রহমানের লোকজনের সাথে কথাবার্তা না বলার জন্য।
কিন্তু তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখার জন্য দরবারে কেউ আদেশ দেয় নাই, তাদেরকে।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।