গুরুদাসপুরে বিধবা নারীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি পলাতক

আপডেট: September 25, 2023 |
inbound2515121055112540862
print news

ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর রাবারড্যাম এলাকার আবু সাঈদের ছেলে জাহাঙ্গীর গভীর রাতে বিধবা এক নারীকে (৪২) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ১৮ দিন পর মামলা রজু করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।

যদিও ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীরা দেন-দরবারের নামে সময় ক্ষেপন করেন।

পরে লম্পট জাহাঙ্গির হোসেনকে অভিযুক্ত করে ৮ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

ওই নারী জানান, ছয় বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি আর অন্যত্র বিয়ে করেননি। দশ বছরের পুত্রসন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।

৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন। এসময় প্রতিবেশি জাহাঙ্গির তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন।

তখন তিনি জাহাঙ্গিরের কাছে কাকুতি মিনতি করেন। একপর্যায়ে ডাক চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করেন। পালিয়ে যান লম্পট জাহাঙ্গির।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে আসামি জাহাঙ্গিরের বড় ভাই আল মামুন ও মামা মো. আজাদ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান।

একারণে তিনি সময়মতো অভিযোগ দিতে পারেননি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শাহাদৎ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও শাহিন হোসেন বলেন, জাহাঙ্গির রাতের বেলা এলাকাঘুরে নারীদের উত্যক্ত করেন।

ঘটনার রাতেও ওই নারীকে জাপটে ধরেন। তারা গেলে জাহাঙ্গির পালিয়ে যান। তারা জাহাঙ্গিরের বিচার দাবি করেন।

বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা বলেন, প্রায়ই এই ধরণের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে।

অপরাধ প্রমানিত হলে কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত। আসামি জাহাঙ্গির পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া য়ায়নি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হয়।

তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার অভিযোগটি মামলা আকারে রুজু করা হয়েছে।
আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর