দলীয় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার জাবি ছাত্রদলের

আপডেট: January 5, 2025 |
inbound5052967085295961228
print news

জাবি প্রতিনিধি: ঢাকার সেগুনবাগিচায় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব রকিবুল ইসলাম বকুল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দের সাথে জাবি ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী ছাত্র/ছাত্রীদের এক মতবিনিময় সভায় যোগদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলকে দুইটি বাস বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট থেকে মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীরা।

পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শনিবার দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ দুইটি বাস রিকুইজিশন আবেদন করেছেন।

তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ডবল ডেকার (দ্বিতল) ও সিঙ্গেল ডেকার বাস রিকুইজিশন দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, একটি লাল রঙের ডবল ডেকার ও একটি সবুজ রঙের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে।

সকালে শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়নের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিলের পর সেই বাসগুলোতে করে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

তবে মিছিলে থাকা অধিকাংশ নেতাকর্মীরই ছাত্রত্ব নেই। একপর্যায়ে দুপুর ১টার পরে বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।

এর আগে গতকাল রাতে শাখা ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয় শনিবার সকাল ১১টায় ট্রান্সপোর্ট চত্বরে দুইটি বাস থাকবে বলে জানান শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসাইন।

তিনি এক মেসেজে বলেন, ‘শনিবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় ৩৭/এ সেগুনবাগিচাস্থ কচি কাঁচার মেলা অডিটোরিয়ামে অনুস্ঠিতব্য বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জনাব রকিবুল ইসলাম বকুল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দের সাথে জাবি ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী ছাত্র/ছাত্রীদের মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহনে যাতায়াতের জন্য সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় জাবি ক্যাম্পাসের ট্রান্সপোর্টে একটি ডবল ডেকার ও একটি বড় বাস রেডি থাকবে।

পূ্র্বের ঘোষনা মোতাবেক সবাইকে যথা সময়ে ট্রান্সপোর্টে উপস্থিত থাকার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহারের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ছাত্রদলের কর্মীরা আমার নামে একটা বাস রিকুইজিশন চাইছিল তাই দিয়েছি।

এটাতো প্রশাসন দিচ্ছেনা, আমি আমার ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে রিকুইজিশন দিয়েছি। এটাতে কোনো সমস্যা দেখতেছি না। তারা যে দলীয় প্রোগ্রামে যাচ্ছে সেই দলতো নিষিদ্ধ না।

তাদের একটা আলোচনা সভা আছে। তারা বাস নিয়ে তাদের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে যেতেই পারে।

তবে বাস রিকুইজিশনের বিষয়টি অস্বীকার করে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ বলেন, আমি বিষয়ে কিছুই জানিনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস রিকুইজিশনের জন্য আমি আবেদন করিনি এবং স্বাক্ষরও দেইনি। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে করা হয়েছে।

বাস রিকুইজিশনের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আওলাদ হোসেন বলেন, আমি মায়ের অসুস্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আছি।

তবে অফিসের কর্মকর্মারা জানিয়েছে দুইজন শিক্ষক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আবেদন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে তাদের জন্য বাস অনুমোদন করা হয়েছে। শিক্ষকরা প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিতে পারেন।

আবেদনে ব্যক্তিগত কারণ ছিলো বলে অফিস থেকে অনুমোদন করা হয়েছে। পরে তারা কোন কাজে ব্যবহার করেছেন সেটা আমরা জানিনা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর