ডিএমপিতে চলছে শুদ্ধি অভিযান

আপডেট: October 4, 2020 |

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে চলছে শুদ্ধি অভিযান। সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত সদস্যদের ডোপ টেস্ট চলছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৪০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার সফিকুল ইসলাম বলেন, এই শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মাদক। মাদকের ভয়াল থাবা সমাজের সবখানে। কিশোর-তরুণরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, বাড়ছে অপরাধ।

নানা ঘটনায় মাদকের বিরুদ্ধে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ। এর মধ্যেই চলছে অভিযান। প্রতিদিনই জব্দ করা হচ্ছে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। গ্রেফতার করা হচ্ছে মাদক কারবারীদের। তারপরও থামানো যাচ্ছে না মাদকের আগ্রাসন।

পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ মাদকাসক্ত হচ্ছেন আবার কেউ কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। বিষয়টি অবশ্যই বাহিনীটির জন্য বিব্রতকর। সে কারণেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করলো ডিএমপি।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, কার কাছ থেকে মাদকটা সরবরাহ করা হয়েছে সেটা খুঁজতে শুরু করলাম। এটা খুঁজতে গিয়ে দেখি পুলিশের বেশ কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। তারা নিজেরা মাদক সেবন করে, এমনকি এই মাদক পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য কেউ কেউ সহায়তাও করে। আমাদের সদস্যদেরকে যদি এগুলো থেকে দূরে রাখতে পারি তখন মাদক ব্যবসায়ীরা বুঝছে যে, পুলিশ তাদের নিজের লোককে ছাড় দিতে দিচ্ছে না আমাকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

শুধু মাদক নয়, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ছোট-বড় যে কোন ধরনের অপরাধ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের আচরণের ক্ষেত্রে বিরূপ সমস্যার কথা সবাই বলেন যে পুলিশ কাজ করে, কাজ করার আগে দুটা ধমক দেয়। অথবা থানায় গেলেই প্রথমেই একটা বিরূপ ধমকের সম্মুখিন হতে হয়। এই বিষয়গুলো থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা অফিসারদের মটিভেট করছি এবং যারা এ ধরনের আচরণ করছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। ছোট বড় অপরাধে এ পর্যন্ত ২২০-২২৫ জন পুলিশ সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

থানায় গিয়ে সেবা প্রত্যাশী কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনিং একাডেমিতেও আমরা এই আচরণগত সমস্যার বিষয়গুলোতে বেশি জোড় দিচ্ছি।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর