বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, সংক্রমণে জাপান

আপডেট: November 17, 2022 |

বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৩০২ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৪ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১১ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ১১১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৮২৬ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ২১০ জন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৭৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। হাঙ্গেরিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৪১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৯ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর