আর্ন্তজাতিক পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জাতীয় সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত


ফারজানা শারমিন : আর্ন্তজাতিক পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আওতাধীন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (সিথ্রিইআর ) এক জাতীয় সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছে।
আজ ( ৫্ই জুন ২০২৪) বুধবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক্সিবিশন গ্যালারীতে পরিবেশ বিষয়ক এই জাতীয় সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর পরিবেশ বিষয়ক জাতীয় সিম্পোজিয়ামের মুল প্রতিপাদ্য থিম ছিল -” সবুজময় ভবিষ্যতের দিকে তরুণদের কর্মে নিযুক্তি ।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মিঃ আসিফ সালেহ, প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুল হক , মো: লিয়াকত আলী পিএইচডি, ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রাম (সিসিপি), আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউডিপি) এন্ড ডিজাষ্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (ডিআরএমপি) ব্র্যাক, ডা. এ আতিক রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এডভাইজার পুল ফ্যাকাল্টির সদস্য , মুহাম্মদ মুকিত মজুমদার বাবু ,ডিরেক্টর প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনসহ পরিবেশ বিষয়ক অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এডভাইজার পুল ফ্যাকাল্টির সদস্য ডা. এ আতিক রহমান বলেন -ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব সময় দূষণমুক্ত সুন্দর সবুজ পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এ কারনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডেকোরেশনে সবুজ গাছপালা লতাপাতা গুল্ম উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো হয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সবুজ বৃক্ষরোপন , পরিচর্যার মাধ্যমে সুন্দর সবুজ বাগান তৈরি করা হয়েছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুকিত মজুমদার বাবু বলেন – পরিবেশ প্রকৃতি ভাল না থাকলে আমরা ভাল থাকবনা । বর্তমানে পৃথিবীর এবং বাংলাদেশের উত্তাপ কেন দিন কে দিন বেড়ে যাচ্ছে তা কি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। বর্তমানে আমরা প্রকৃতিকে সবুজ ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য সারা বাংলাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছি।প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের আওতাধীন সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের ক্লাব রয়েছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে সারা দেশকে সবুজ করতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করা হবে।
এসময় তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- বাংলাদেশে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিই একমাত্র ইউনিভার্সিটি যে ইউনিভার্সিটি অনেক দিন হতেই কার্বন নি:সরণ, পৃথিবীর উত্তাপময় পরিবেশের কুপ্রভাব সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে । পাশাপশি সবুজ পৃথিবী সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে । অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ধরনের পরিবেশসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমে অংশগ্রহনে আগ্রহী করে তুলতে হবে । তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সবুজ সোনার বাংলা গঠন সম্ভব হবে।
প্রখম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক এবং খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন – জাতিসংঘে এ বছর পরিবেশ দিবসের মুল খিম হল আওয়ার ল্যান্ড আওয়ার ফিউচার ।
এ বছর পরিবেশ দিবসে তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভুমি দস্যুদের হাত হতে ভুমি পুনরুদ্ধার , মরুকরণ হতে পৃথিবীকে রক্ষা, খরা হতে পৃথিবীকে রক্ষা।জাতিসংঘের তথ্য সূত্র হতে আরো জানা গেছে প্রতি ৫ মিনিটে একটি ফুটবল মাঠের সমান জমি বিভিন্ন কারনে পৃথিবী হতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । অথচ পৃথিবীর নতুন জমির পলি তৈরি হতে এক হাজার বছর সময় লাগে ।বর্তমানে পৃথিবী যারা চালাচ্ছে এমন প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের অতি মুনাফা লাভের প্রবনতার কারনে পৃথিবীর পরিবেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।