তিস্তার ৪৪ গেট খুলে দেয়া হলো, বন্যার আশঙ্কা

আপডেট: June 21, 2021 |
print news

অবিরাম বৃষ্টি আর সীমান্তের ওপারে উজানের ঢল নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। নদ-নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তার ৬৩টি চরের মানুষ।

রবিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় হাতিবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫২.৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ৫২.৬০ সেন্টিমিটার।

জানা গেছে, গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে ৩০টি পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলিন হয়েছে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকার বালুর বাঁধ, সদর উপজেলার গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের ভাঙন বেড়েই চলছে। সেখানে বসবাসরত মানুষ আতঙ্কে দিন যাপন করছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি সম্পর্কে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীতে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতিবান্ধার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী; সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে পারে যে কোনো সময়।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর